ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় বাসচাপায় নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই দুর্ঘটনা নিয়ে প্রকাশিত খবরের বরাত দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শককে ই-মেইলে নোটিশটি পাঠানো হয়। একটি মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষে নোটিশটি পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব। গত ২৭ ডিসেম্বর ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে সড়কের টোল প্লাজায় থেমে থাকা প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেলকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় বেপারী পরিবহনের একটি বাস।
এতে ছয়জনের মৃত্যু হয়। নোটিশে বলা হয়, সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মানুষের জীবনধারণের অধিকার অন্যতম একটি মৌলিক অধিকার। বাস মালিক, চালক, সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ ও হাইওয়ে পুলিশের চরম অবহেলার কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে, বাসটির ফিটনেস সনদ ছিল না।চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্সও ছিল মেয়াদ উত্তীর্ণ। তা ছাড়া বাসটির চালক স্বীকার করেছেন, তিনি একজন গাঁজাসেবী। নোটিশে বলা হয়েছে, বাসের ফিটনেস ও চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলার কারণে ছয়জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বাসের ফিটনেস সনদ উত্তীর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল বাসটির নিবন্ধন বাতিল করা।
আর হাইওয়ে পুলিশের দায়িত্ব ছিল বাসটির ফিটনেস এবং চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নিরীক্ষা করা। তা ছাড়া বাস মালিক ফিটনেসহীন যান রাস্তায় নামিয়ে এবং বৈধ লাইসেন্স ছাড়া চালককে দিয়ে বাস চালিয়ে চরম বেআইনি কাজ করেছেন।